আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আল্লামা শফীকে দেখতে লাখো মানুষের ঢল

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: দেশের শীর্ষ কওমী আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার অভিমুখে।

শনিবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন লাখো ভক্ত-অনুসারীরা। জনতার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।  পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য আছেন হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে। এছাড়াও ৪ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন ৭জন ম্যাজিস্ট্রেট।

হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়াও হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা আল্লামা আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাকে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এরপর হেফাজত আমিরকে ঢাকার জামিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসায় গোসল ও কাফন পরানো হয়। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তার মরদেহবাহী গাড়িটি হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। এর আগে ভোর ৪টায় রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে তার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়।

হাটহাজারী মাদরাসায় শুরু কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ জোহরের আগ পর্যন্ত হাটহাজারী মাদরাসার কনযুদ্দাকায়েক শ্রেণিকক্ষে সকলের দেখার জন্য রাখা হয়।

জোহরের নামাজের পর মাদরাসা মাঠেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযায় মুসল্লি সমাগম মাঠে ভরে যায়। কেননা, লক্ষাধিক মুসল্লির জমায়েত হয়েছে হাটহাজারীতে। জানাযা খাগড়ছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। জানাজা পড়ান আল্লামা শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ । জানাজা শেষে মাদরাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে আল্লামা শফীর মরদেহ পৌঁছায় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসায়।